ঢাকা ০৯:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেইলি রোডের আগুন লাগা বহুতল ভবনটিতে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না: প্রধানমন্ত্রী

বেইলি রোডে আগুন লাগা বহুতল ভবনটির নির্মাণ ত্রুটির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগুন লাগা বহুতল ভবনটিতে কোন অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না। যার কারণে আমাদের এরকম একটি হৃদয়বিদারক ঘটনার সাক্ষী হতে হয়েছে।

১ মার্চ, শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘জাতীয় বীমা দিবস-২০২৪’ উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সবাইকে আরও সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, অগ্নি নির্বাপণে সরকারের সব প্রস্তুতি থাকলেও সচেতনতার অভাবে হতাহত বাড়ছে।এই যে বৃহস্পতিবারের আগুনে ৪৬ জন মারা গেছেন, এর চেয়ে কষ্টের আর কী হতে পারে। অথচ অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানোর নির্দেশ দিচ্ছি, সেটা কিন্তু আর মানে না। এসব ক্ষেত্রে সচেতনতা খুব জরুরি।

নিয়ম মেনে ভবন নির্মাণের তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, সব সময় আমাদের যারা আর্কিটেক্ট তাদের অনুরোধ করি, আপনারা অন্তত পক্ষে যখন ঘরবাড়ি তৈরি করেন, একটু খোলা বারান্দা, ফায়ার এক্সিট বা ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা করবেন। আমি খোলা জায়গা রাখতে বলি, কিন্তু স্থপতিরা ওই রকম ডিজাইন করেন না। আবার মালিকরাও এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়তে চান না।

বীমা সম্পর্কে মানুষকে আরও সচেতন করার কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বীমা করলে কী সুবিধা সেটা মানুষকে জানাতে হবে। সামান্য একটা প্রিমিয়াম দিয়ে একটা বীমা করলে, পরে কিন্তু অনেক সমস্যা হয় না। বীমার টাকা যেন মানুষ সহজে পায়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।

এসময় তিনি বীমা নিয়ে যারা দুই নম্বরি করে তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, বীমা নিয়ে অনেকেই দুই নম্বরি করে পার পেয়ে যায়। কারণ, তারা ম্যানেজ করে ফেলে। কেউ যাতে ম্যানেজ করতে না পারে, আর সত্যিকার যাদের প্রাপ্য তারা যেন সহজে পায় বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে।

অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ বীমা প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পুরস্কার তুলে নেন ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্সের চেয়ারম্যান আলহাজ মোরশেদ আলম এমপি।

এর আগে, বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বেইলি রোডের বহুতল ভবনের দ্বিতীয় তলায় আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ভবনের ভিতর থেকে ৭৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতদের কেউই শঙ্কামুক্ত নন।

বিদেশি ঋণের প্রকল্পগুলোর কাজের অগ্রগতির প্রতিবেদন তিন মাস অন্তর পাঠানোর নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রীর

বেইলি রোডের আগুন লাগা বহুতল ভবনটিতে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৪:৩০:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ মার্চ ২০২৪

বেইলি রোডে আগুন লাগা বহুতল ভবনটির নির্মাণ ত্রুটির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগুন লাগা বহুতল ভবনটিতে কোন অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না। যার কারণে আমাদের এরকম একটি হৃদয়বিদারক ঘটনার সাক্ষী হতে হয়েছে।

১ মার্চ, শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘জাতীয় বীমা দিবস-২০২৪’ উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সবাইকে আরও সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, অগ্নি নির্বাপণে সরকারের সব প্রস্তুতি থাকলেও সচেতনতার অভাবে হতাহত বাড়ছে।এই যে বৃহস্পতিবারের আগুনে ৪৬ জন মারা গেছেন, এর চেয়ে কষ্টের আর কী হতে পারে। অথচ অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানোর নির্দেশ দিচ্ছি, সেটা কিন্তু আর মানে না। এসব ক্ষেত্রে সচেতনতা খুব জরুরি।

নিয়ম মেনে ভবন নির্মাণের তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, সব সময় আমাদের যারা আর্কিটেক্ট তাদের অনুরোধ করি, আপনারা অন্তত পক্ষে যখন ঘরবাড়ি তৈরি করেন, একটু খোলা বারান্দা, ফায়ার এক্সিট বা ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা করবেন। আমি খোলা জায়গা রাখতে বলি, কিন্তু স্থপতিরা ওই রকম ডিজাইন করেন না। আবার মালিকরাও এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়তে চান না।

বীমা সম্পর্কে মানুষকে আরও সচেতন করার কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বীমা করলে কী সুবিধা সেটা মানুষকে জানাতে হবে। সামান্য একটা প্রিমিয়াম দিয়ে একটা বীমা করলে, পরে কিন্তু অনেক সমস্যা হয় না। বীমার টাকা যেন মানুষ সহজে পায়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।

এসময় তিনি বীমা নিয়ে যারা দুই নম্বরি করে তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, বীমা নিয়ে অনেকেই দুই নম্বরি করে পার পেয়ে যায়। কারণ, তারা ম্যানেজ করে ফেলে। কেউ যাতে ম্যানেজ করতে না পারে, আর সত্যিকার যাদের প্রাপ্য তারা যেন সহজে পায় বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে।

অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ বীমা প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পুরস্কার তুলে নেন ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্সের চেয়ারম্যান আলহাজ মোরশেদ আলম এমপি।

এর আগে, বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বেইলি রোডের বহুতল ভবনের দ্বিতীয় তলায় আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ভবনের ভিতর থেকে ৭৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতদের কেউই শঙ্কামুক্ত নন।